সংরক্ষণ করুন
  • New List
আরও
    সংরক্ষণ করুন
    • New List
0 / 0
30,42007/জিলহজ/1439 , 18/আগস্ট/2018

মহিলাদের জন্য ঈদের নামায পড়া সুন্নত

প্রশ্ন: 26983

মহিলাদের উপর ঈদের নামায পড়া কি ওয়াজিব? যদি ওয়াজিব হয় তাহলে তারা কি বাসায় পড়বে; নাকি ঈদগাহে?

উত্তর

সমস্ত প্রশংসা আল্লাহর জন্য। দুরুদ ও সালাম বর্ষিত হোক আল্লাহর

মহিলাদের উপর ঈদের নামায ওয়াজিব নয়; বরং সুন্নত। মহিলারা মুসলমানদের সাথে ঈদগাহে ঈদের নামায আদায় করবেন। কেননা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাদেরকে সেই নির্দেশ দিয়েছেন। সহিহ বুখারী ও সহিহ মুসলিম এবং অন্যান্য গ্রন্থে উম্মে আতিয়্যা (রাঃ) থেকে বর্ণিত হয়েছে যে, তিনি বলেন: "আমাদেরকে আদেশ দেওয়া হয়েছিল" অন্য রেওয়ায়েতে এসেছে "তিনি আমাদেরকে আদেশ দিয়েছিলেন (অর্থাৎ নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) প্রাপ্তবয়স্ক কুমারী মেয়ে, অন্তপুরবাসিনী তরুনীদেরকে দুই ঈদের সময় (ঈদগাহে) নিয়ে যেতে এবং ঋতুবতী নারীদেরকে নামাযের জায়গা থেকে দূরে থাকতে।"[সহিহ বুখারী (১/৯৩) ও সহিহ মুসলিম (৮৯০)] অন্য এক রেওয়ায়েতে এসেছে‑ "আমাদেরকে আদেশ দেওয়া হয়েছে আমরা যেন ঈদগাহে যাই এবং প্রাপ্তবয়স্ক কুমারী মেয়ে ও অন্তপুরবাসিনী তরুনীদেরকেও সাথে নিয়ে যাই।" তিরমিযির বর্ণনায় এসেছে- "রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম অবিবাহিত নারী, প্রাপ্তবয়স্ক কুমারী মেয়ে, অন্তপুরবাসিনী তরুনী, ঋতুবতী নারীদেরকে দুই ঈদের সময় ঈদগাহে হাজির হতে বলতেন। তবে, ঋতুবতী নারীরা ঈদগাহ থেকে দূরে থাকত এবং সবার সাথে দোয়ায় শরীক হত। জনৈক নারী বলল: ইয়া রাসূলুল্লাহ্‌! যদি কোন নারীর জিলবাব (বোরকা) না থাকে? তিনি বললেন: তাহলে তার কোন বোন যেন তাকে নিজের কোন একটি জিলবাব ধার দেয়।"[সহিহ বুখারী ও সহিহ মুসলিম]। নাসাঈ-এর রেওয়ায়েতে এসেছে‑ হাফসা বিনতে সিরিন বলেন: "উম্মে আতিয়্যা যখনি রাসূলুল্লাহ্‌ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে উল্লেখ করতেন তখনি বলতেন: 'আমার পিতা তাঁর জন্য উৎসর্গ হোক'। আমি বললাম: আপনি কি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে এমন এমন বলতে শুনেছেন? তখন তিনি বললেন: হ্যাঁ, আমার পিতা তাঁর জন্য উৎসর্গ হোক। তিনি বলেছেন: প্রাপ্ত বয়স্ক কুমারী মেয়ে, অন্তপুরবাসিনী তরুনী ও ঋতুবতী নারীরা যেন বের হয় এবং ঈদের নামাযে ও মুসলমানদের দোয়াতে হাযির হয়। ঋতুবতী নারীরা যেন নামাযের জায়গা থেকে দূরে থাকে।"[সহিহ বুখারী (১/৮৪)]

পূর্বোক্ত আলোচনার ভিত্তিতে পরিষ্কার যে, নারীদের জন্য দুই ঈদের নামাযে গমন করা সুন্নতে মুয়াক্কাদা। তবে শর্ত হচ্ছে তারা পর্দাসহকারে বের হবেন; বেপর্দা নয়­‑ যেমনটি অন্যান্য দলিল থেকে জানা যায়।

আর বুঝবান বাচ্চাদের ঈদের নামাযে, জুমার নামাযে ও অন্যান্য নামাযে যাওয়ার বিধান সুবিদিত এবং অনেক দলিল দ্বারা প্রমাণিত।   

আল্লাহ্‌ই উত্তম তাওফিকদাতা।

সূত্র

সূত্র

ফতোয়া বিষয়ক স্থায়ী কমিটির ফতোয়াসমগ্র (৮/২৮৪-২৮৬)

টেক্সট ফরম্যাটিং অপশন

at email

নিউজ লেটার পেতে সাবস্ক্রাইব করুন

নিয়মিত আপডেট ও ওয়েবসাইটের নিত্য নতুন তথ্য পেতে ইমেইল দিয়ে সাবস্ক্রাইব করুন

phone

ইসলাম প্রশ্ন এবং উত্তর অ্যাপ্লিকেশন

কন্টেন্টে আরও দ্রুত অনুসরণ করুন এবং ইন্টারনেট ছাড়া ব্রাউজ করার সুযোগ

download iosdownload android