6,047

ফিতরা বণ্টনের খাত

প্রশ্ন: 145565

গরীব-মিসকীন ছাড়া কুরআনে উল্লেখিত আট শ্রেণীর অন্যদের মাঝে কি ফিতরা বণ্টন করা যাবে?

উত্তর

সমস্ত প্রশংসা আল্লাহর জন্য, দুরুদ ও সালাম বর্ষিত হোক আল্লাহর রাসূলের প্রতি। পর সমাচার:

এ মাসয়ালায় আলেমদের মাঝে মতভেদ রয়েছে। শাফেয়ি মাযহাবের আলেমদের মতে, ফিতরা বণ্টন করার খাত ও সম্পদের যাকাত বণ্টন করার খাত অভিন্ন।[দেখুন: আসনাল মাতালিব (১/৪০২)]

মালেকি মাযহাবের আলেমরা ফিতরাকে গরীব-মিসকীনদের জন্য খাস বলেছেন। শাইখুল ইসলাম ইবনে তাইমিয়া, ইবনুল কাইয়্যেম ও সমকালীন আলেমদের মধ্যে বিন বাযের নিকট এটি মনোনীত অভিমত।

'হাশিয়াতুদ দুসুকী' গ্রন্থে (১/৫০৮) এসেছে: ফিতরা দেওয়া যাবে স্বাধীন, মুসলিম, দরিদ্র এবং হাশেমী বংশধর নয় এমন ব্যক্তিকে। ফিতরা আদায়কারী, ইসলামের প্রতি হৃদয় আকৃষ্ট, দাস ও ঋণগ্রস্তকে দেওয়া যাবে না। মুজাহিদ ও মুসাফিরকে দেশে পৌঁছার জন্য দেওয়া যাবে; বরং গরীব হিসেবে…।[সমাপ্ত]

শাইখুল ইসলাম ইবনে তাইমিয়া বলেন: "দলিলের দিক থেকে এ অভিমতটি মজবুত।"[মাজমুউ ফাতাওয়া শাইখুল ইসলাম (২৫/৭১) থেকে সমাপ্ত]

ইবনুল কাইয়্যেম (রহঃ) "যাদুল মাআদ" গ্রন্থে (২/২২) বলেন: "নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের আদর্শ ছিল এ সদকাটা মিসকীনদেরকে দেওয়া। তিনি মুটে মুটে আট শ্রেণীর মাঝে ভাগ করতেন না এবং সে নির্দেশও দেননি। এবং কোন সাহাবীও এমন কাজ করেননি। সাহাবীদের পরেও কেউ করেননি। বরং আমাদের কাছে দুটো অভিমতের একটি হচ্ছে: মিসকীন ছাড়া অন্যদের মাঝে ফিতরা বণ্টন করা নাজায়েয। এ অভিমতটি আট শ্রেণীর মাঝে ভাগ করে দেওয়ার অভিমতের চেয়ে অগ্রগণ্য।"

শাইখ বিন বায (রহঃ) বলেন: "ফিতরা বণ্টনের খাত হচ্ছে গরীব, মিসকীন। যেহেতু ইবনে আব্বাস (রাঃ) থেকে সাব্যস্ত হয়েছে যে, তিনি বলেছেন: নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ফিতরা ফরয করেছেন অনর্থক কথা-কাজ ও যৌনালাপ থেকে রোযাদারকে পবিত্র করাস্বরূপ এবং মিসকীনদের জন্য খাদ্যের ব্যবস্থাস্বরূপ।"[মাজমুউল ফাতাওয়া (১৪/২০২)]

আল্লাহ্‌ই সর্বজ্ঞ।

সূত্র

সূত্র

ইসলাম জিজ্ঞাসা ও জবাব

at email

নিউজলেটার

ওয়েবসাইটের ইমেইল ভিত্তিক নিউজলেটারে সাবস্ক্রাইব করুন

phone

ইসলাম জিজ্ঞাসা ও জবাব অ্যাপ্লিকেশন

কন্টেন্টে আরও দ্রুত পৌঁছতে ও ইন্টারনেট ছাড়া ব্রাউজ করতে

download iosdownload android