0 / 0
4227/জিলহজ/1446 , 23/জুন/2025

ইস্তেখারার নামায

প্রশ্ন: 11981

আমি ইস্তেখারার নামায সম্পর্কে আরো জানতে চাই। নামাযে কী পড়ব? কী দোয়া করব? এই নামাযে রাকাত সংখ্যা কত? হাম্বলী, শাফেয়ী এবং হানাফী মাযহাবেও কি একই পদ্ধতিতে নামাযটা পড়া হয়?

উত্তরের সংক্ষিপ্তসার

ইস্তেখারার নামায পড়া সুন্নত। যে ব্যক্তি কোনো কাজ করতে চাইছে কিন্তু দ্বিধায় ভুগছে তার জন্য নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এই বিধান প্রদান করেছেন। ইস্তেখারার বিধান প্রদানের গূঢ় রহস্য হলো এর মাধ্যমে আল্লাহর ফয়সালার কাছে আত্মসমর্পণ করা। চার মাযহাব একমত যে ইস্তেখারা এমন সকল বিষয়ে করা যায় যেগুলোর ক্ষেত্রে কোনটি সঠিক তা বান্দা জানে না। আর দোয়া করতে হয় নামাযের পরে। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে হাদীস শরীফে এভাবে বর্ণিত হয়েছে।

সংশ্লিষ্ট প্রশ্নোত্তরসমূহ
উত্তর

যে ব্যক্তি কোনো কাজ করতে গিয়ে দ্বিধায় ভুগছে তার জন্য ইস্তেখারার নামায নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের আরোপকৃত সুন্নাহ। ইস্তেখারার নামায নিয়ে আটটি পয়েন্টে আলোচনা করা হবে:

১. এর পরিচিতি ২. এর বিধান ৩. এই নামাযের বিধান দেয়ার গূঢ় রহস্য ৪. এর কারণ ৫. ইস্তেখারা কখন শুরু হয়? ৬. ইস্তেখারার আগে পরামর্শ ৭. ইস্তেখারায় কী পড়তে হয়? ৮. দোয়া কখন করতে হয়?

ইস্তেখারার পরিচিতি

استخارة

শব্দের আভিধানিক অর্থ কোনো বিষয়ে মতামত চাওয়া। বলা হয়:

استَخِرِ الله يَخِرْ لك

অর্থাৎ তুমি আল্লাহর কাছে ইস্তিখারা (বাছাইকরণ প্রার্থনা) কর তিনি তোমার জন্য বাছাই করে দিবেন। পরিভাষায়: বাছাইকরণ প্রার্থনা করা। অর্থাৎ ইস্তিখারার নামায অথবা এ প্রসঙ্গে বর্ণিত দোয়ার মাধ্যমে আল্লাহর কাছে যা পছন্দনীয় ও উত্তম সেটির দিকে মন ধাবিত করা প্রার্থনা করা।

ইস্তেখারার হুকুম

আলেমরা একমত যে ইস্তেখারা করা সুন্নত। ইস্তেখারা শরয়ি বিধান হওয়ার দলীল হলো সহিহ বুখারীতে বর্ণিত হাদীস, জাবের রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন: রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যেভাবে আমাদেরকে কুরআনের সূরা শেখাতেন সেভাবে সকল বিষয়ে ইস্তেখারা করা শেখাতেন। তিনি বলতেন: যখন তোমাদের কেউ কোন কাজের ইচ্ছা করে তখন সে যেন ফরয নয় এমন দুই রাকাত নামায আদায় করে নেয়, অতঃপর বলে:

اللَّهُمَّ إِنِّي أَسْتَخِيرُكَ بِعِلْمِكَ وَأَسْتَقْدِرُكَ بِقُدْرَتِكَ وَأَسْأَلُكَ مِنْ فَضْلِكَ الْعَظِيمِ فَإِنَّكَ تَقْدِرُ وَلاَ أَقْدِرُ وَتَعْلَمُ وَلاَ أَعْلَمُ وَأَنْتَ عَلاَّمُ الْغُيُوبِ اللَّهُمَّ إِنْ كُنْتَ تَعْلَمُ أَنَّ هَذَا الأَمْرَ خَيْرٌ لِي فِي دِينِي وَمَعَاشِي وَعَاقِبَةِ أَمْرِي أَوْ قَالَ: عَاجِلِ أَمْرِي وَآجِلِهِ، فَاقْدُرْهُ لِي وَيَسِّرْهُ لِي ثُمَّ بَارِكْ لِي فِيهِ، اللَّهُمَّ وَإِنْ كُنْتَ تَعْلَمُ أَنَّ هَذَا الأَمْرَ شَرٌّ لِي فِي دِينِي وَمَعَاشِي وَعَاقِبَةِ أَمْرِي أَوْ قَالَ: عَاجِلِ أَمْرِي وَآجِلِهِ، فَاصْرِفْهُ عَنِّي وَاصْرِفْنِي عَنْهُ وَاقْدُرْ لِي الْخَيْرَ حَيْثُ كَانَ ثُمَّ ارْضِنِي بِهِ.

“হে আল্লাহ! আমি আপনার জ্ঞানের মাধ্যমে আপনার কাছে বাছাইকরণ প্রার্থনা করছি। আপনার ক্ষমতার মাধ্যমে আপনার নিকট সক্ষমতা প্রার্থনা করছি এবং আপনার মহান অনুগ্রহের প্রার্থনা করছি। কেননা আপনিই ক্ষমতা রাখেন; আমি রাখি না। আপনিই জানেন; আমি জানি না এবং আপনি গায়েবী বিষয়াবলী সম্পর্কে সম্যক অবগত। হে আল্লাহ! আপনার জ্ঞানে আমার এ কাজ (নিজের প্রয়োজনের নামোল্লেখ করবে) আমার দ্বীনদারির, জীবিকার ও সিদ্ধান্তের পরিণামে ভালো হলে কিংবা বলবে আমার বর্তমান ও ভবিষ্যত জীবনের জন্য ভালো হলে আপনি তা আমার জন্য নির্ধারণ করে দিন। সেটা আমার জন্য সহজ করে দিন, এরপর তাতে বরকত দিন। হে আল্লাহ্‌! আর যদি আপনার জ্ঞানে আমার এ বিষয়টি আমার দ্বীনদারির, জীবিকার ও সিদ্ধান্তের পরিণামে মন্দ হয় কিংবা বলবে আমার বর্তমান ও ভবিষ্যতের জন্য মন্দ হয়, তবে আপনি আমাকে তা থেকে ফিরিয়ে দিন এবং সেটাকেও আমার থেকে ফিরিয়ে রাখুন। আমার জন্য যেখানে কল্যাণ আছে সেটি নির্ধারণ করুন, এরপর সেটার প্রতি আমাকে সন্তুষ্ট করে দিন।”[হাদীসটি বুখারী (১১৬৬) তার গ্রন্থের বিভিন্ন স্থানে বর্ণনা করেন। কিছু স্থানে أرضني به এর পরিবর্তে رضّني به রয়েছে]

ইস্তেখারার নামাযের বিধান আরোপের গূঢ় রহস্য

ইস্তেখারার নামাযের বিধান আরোপের গূঢ় রহস্য হলো নিজের সামর্থ্য ও শক্তি থেকে বের হয়ে আল্লাহর ফয়সালার প্রতি নিজেকে সমর্পণ করা এবং তাঁর কাছে ধর্ণা দেয়া; যাতে দুনিয়া ও আখিরাত উভয় কল্যাণ নিশ্চিত করা যায়। এর জন্য মহান রবের দরজায় কড়া নাড়ার প্রয়োজন হয়। আর এই কাজে নামায ও দোয়ার চেয়ে উপকারী কিছু নেই। কারণ নামায ও দোয়ার মাধ্যমে আল্লাহকে সম্মান করা হয়, তাঁর প্রশংসা জ্ঞাপন করা হয় এবং কথায়-কাজে তার মুখাপেক্ষিতা প্রকাশ করা হয়। ইস্তেখারা করার পর তার মন যেদিকে ধাবিত হয় সেটাই সে বাস্তবায়ন করবে।

ইস্তেখারার কারণ

ইস্তেখারার কারণ (যে সমস্ত ক্ষেত্রে ইস্তেখারা করতে হয়) হলো: ফিকহী চার মাযহাব একমত যে ইস্তেখারা এমন সকল বিষয়ে করতে হয় যেগুলোতে সঠিক সিদ্ধান্ত কী তা বান্দা জানে না। অন্যদিকে যে বিষয়গুলো ভালো নাকি মন্দ তা জানা বিষয়, যেমন: ইবাদত, ভালো কাজ, পাপ কাজ সেগুলোতে ইস্তেখারা করা নিষ্প্রয়োজন। তবে যদি নির্দিষ্ট সময় নির্ধারণ করতে চায়; যেমন: শত্রু বা ফিতনার আশঙ্কা করার কারণে এই বছরে হজ্জ করবে কিনা? কিংবা অমুক ব্যক্তিকে সঙ্গী হিসেবে নিবে কিনা? সুতরাং ওয়াজিব, হারাম ও মাকরূহ এই তিনটির কোনোটির ক্ষেত্রে ইস্তেখারা করা যাবে না। ইস্তিখারা করতে হবে কেবল মুস্তাহাব ও মুবাহ (বৈধ) ক্ষেত্রে। মুস্তাহাব বিষয়ের মূল বিধানের ক্ষেত্রে ইস্তেখারা করা যাবে না; কেননা মুস্তাহাব তো কাম্য। কেবল তখনই ইস্তেখারা করা যাবে যখন সাংঘর্ষিক হবে। অর্থাৎ যদি ব্যক্তির কাছে দু’টো মুস্তাহাব বিষয়ের মাঝে পারস্পরিক সংঘর্ষ দেখা দেয় যে সে কোনটি দিয়ে শুরু করবে কিংবা কোনটির মধ্যে নিজেকে সীমিত রাখবে? অন্যদিকে মুবাহ (বৈধ) বিষয়ের মূল কাজের ক্ষেত্রে ইস্তেখারা করা যাবে।

ইস্তেখারা কখন করবে?

ইস্তেখারাকারীকে অবশ্যই মন খালি রাখতে হবে। তার মনে নির্দিষ্ট কোনো বিষয়ের প্রতি দৃঢ় প্রত্যয়ী হবে না। কারণ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের বাণী “কোনো কাজের ইচ্ছা করে” ইঙ্গিত দেয় যে, যখন কোনো বিষয় তার অন্তরে প্রথম উপস্থিত হয় তখনই সে ইস্তেখারা করবে। নামায ও দোয়ার বরকতে তার সামনে কোনটি কল্যাণকর তা স্পষ্ট হয়ে যাবে। কিন্তু যদি বিষয়টি তার কাছে সুদৃঢ় হয়ে যায় এবং তাঁর প্রত্যয় তৈরি হয়ে যায় তখন তার মনে এর প্রতি ভালোবাসা ও আগ্রহ তৈরি হয়। এমন অবস্থায় সে যা করার প্রত্যয় করেছে সেটার প্রতি প্রতি তীব্র টান থাকার কারণে সঠিক বিষয়টি তার অস্পষ্ট থেকে থেকে যেতে পারে। আবার হাদীসে কথা: ‘কোনো কাজের ইচ্ছা করে’ দ্বারা প্রত্যয়ও উদ্দেশ্য হতে পারে। কেননা ভাবনা স্থায়ী হয় না। সুতরাং ব্যক্তি এমন কিছুর ব্যাপারেই এগিয়ে যায় কোন ঝোঁকপ্রবণতা ছাড়া যা করার প্রতি সে আগ্রহী। নতুবা যদি প্রতিটি ভাবনায় সে ইস্তেখারা করে তাহলে এমন বিষয়েও সে ইস্তেখারা করবে যেটি তার অপ্রয়োজনীয়। ফলে তার সময়গুলো নষ্ট হবে।

ইস্তেখারা করার আগে পরামর্শ নেয়া

ইমাম নববী বলেন: ‘ইস্তেখারা করার আগে এমন ব্যক্তির পরামর্শ গ্রহণ করা মুস্তাহাব যার কল্যাণকামিতা, সহমর্মিতা ও অভিজ্ঞতা প্রসিদ্ধ এবং যার দ্বীনদারি ও জ্ঞানের ব্যাপারে নির্ভর করা যায়। আল্লাহ তায়ালা বলেন: “কাজে-কর্মে তাদের সাথে পরামর্শ করুন।” যদি পরামর্শ করার মাধ্যমে বিষয়টি কল্যাণকর ফুটে ওঠে তাহলে এ বিষয়ে আল্লাহর কাছে ইস্তেখারা করবে।’ ইবনে হাজার হাইসামী বলেন: “এমনকি সংঘর্ষের ক্ষেত্রে (তথা পরামর্শকে অগ্রাধিকার দেয়া হবে)। কেননা পরামর্শদাতার অভিমতের প্রতি মনের স্থিরতা ইস্তিখারার চেয়ে অধিক শক্তিশালী; নফসের চাহিদার প্রাবল্য ও নষ্ট চিন্তার আধিক্যের কারণে। পক্ষান্তরে, তার মন যদি প্রশান্ত ও সদিচ্ছার অধিকারী হয় এবং অসৎ চাহিদা থেকে মুক্ত হয় তাহলে ইস্তেখারাকে প্রাধান্য দিবে।”

ইস্তেখারার নামাযের ক্বেরাত

ইস্তেখারার নামাযে কী পড়তে হবে সে প্রসঙ্গে তিনটি মত রয়েছে:

ক- হানাফী, মালেকী ও শাফেয়ীরা বলেন: প্রথম রাকাতে সূরা ফাতিহার পরে ‘কুল ইয়া আইয়্যুহাল কাফিরুন’ এবং দ্বিতীয় রাকাতে ‘কুল হুয়াল্লাহু আহাদ’ পড়া মুস্তাহাব। ইমাম নববীর এর কারণ হিসেবে বলেন: এমন নামাযে এ সূরাদ্বয় পড়া যথাযথ যেহেতু এ নামাযের পেছনে উদ্দেশ্য হলো আগ্রহের নিষ্ঠা, অকপট আত্মসমর্পণ ও স্বীয় অক্ষমতা প্রকাশ করা। আলেমগণ এই দুই সূরার সাথে কুরআন কারীমের যে আয়াতগুলোতে বাছাইকরণের উল্লেখ এসেছে সে আয়াতগুলো পড়াও জায়েয বলেছেন।

খ- সালাফের মাঝে কেউ কেউ ইস্তেখারার নামাযের প্রথম রাকাতে সূরা ফাতিহার পর নিম্নোক্ত আয়াতগুলো পড়াকে ভালো বলেছেন:

وَرَبُّكَ يَخۡلُقُ مَا يَشَآءُ وَيَخۡتَارُۗ مَا كَانَ لَهُمُ ٱلۡخِيَرَةُۚ سُبۡحَٰنَ ٱللَّهِ وَتَعَٰلَىٰ عَمَّا يُشۡرِكُونَ 68 وَرَبُّكَ يَعۡلَمُ مَا تُكِنُّ صُدُورُهُمۡ وَمَا يُعۡلِنُونَ 69 وَهُوَ ٱللَّهُ لَآ إِلَٰهَ إِلَّا هُوَۖ لَهُ ٱلۡحَمۡدُ فِي ٱلۡأُولَىٰ وَٱلۡأٓخِرَةِۖ وَلَهُ ٱلۡحُكۡمُ وَإِلَيۡهِ تُرۡجَعُونَ 70 

“তোমার প্রভু যা ইচ্ছা ও পছন্দ করেন তাই সৃষ্টি করেন। তাদের কোনো পছন্দ নাই। আল্লাহ কত মহান! তারা (তাঁর সাথে) যা শরীক করে তিনি তার উর্ধ্বে। আর তাদের অন্তর যা লুকিয়ে রাখে এবং তারা যা প্রকাশ করে তোমার প্রভু তা (সব) জানেন। তিনিই আল্লাহ। কোন উপাস্য সত্য নয়; তিনি ছাড়া। প্রথমে ও শেষে সকল প্রশংসা তাঁরই। হুকুমও তাঁরই এবং তাঁরই কাছে তোমাদেরকে ফিরে যেতে হবে।”[সূরা কাসাস: ৬৮-৭০]

আর দ্বিতীয় রাকাতে নিম্নোক্ত আয়াত:

وَمَا كَانَ لِمُؤۡمِنٖ وَلَا مُؤۡمِنَةٍ إِذَا قَضَى ٱللَّهُ وَرَسُولُهُۥٓ أَمۡرًا أَن يَكُونَ لَهُمُ ٱلۡخِيَرَةُ مِنۡ أَمۡرِهِمۡۗ وَمَن يَعۡصِ ٱللَّهَ وَرَسُولَهُۥ فَقَدۡ ضَلَّ ضَلَٰلٗا مُّبِينٗا 

“আল্লাহ ও তাঁর রাসূল কোনো সিদ্ধান্ত নিলে কোনো ঈমানদার পুরুষ কিংবা নারীর পক্ষে ভিন্ন কিছু করার এখতিয়ার থাকে না। আর যে আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের অবাধ্য হয় সে স্পষ্টতই পথভ্রষ্ট হয়।”[সূরা আহযাব: ৩৬]

গ- অন্যদিকে হাম্বলীদের এবং কিছু ফকীহের মতে, ইস্তেখারার নামাযে কোনো নির্দিষ্ট ক্বেরাত নেই।

ইস্তেখারার দোয়া করার স্থান

হানাফী, মালেকী, শাফেয়ী ও হাম্বলীরা বলেন: দোয়া করতে হবে নামাযের পরপর। এটি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে বর্ণিত হাদীসের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ।[দেখুন: আল-মাউসুয়াতুল ফিকহিয়্যাহ (খণ্ড: ৩, পৃ. ২৪১)]

শাইখুল ইসলাম ‘আল-ফাতাওয়া আল-কুবরা’ গ্রন্থে (২/২৬৫) বলেন: ইস্তেখারার দোয়ার মাসআলা: এ দোয়া দিয়ে কি নামাযের ভেতরে দোয়া করবে; নাকি সালাম ফেরানোর পরে? উত্তর হলো: ইস্তেখারার নামাযে এবং অন্য যে কোন নামাযে দোয়া করা জায়েয; সেটি সালাম ফেরানোর আগে হোক বা পরে হোক। তবে, সালাম ফেরানোর আগে দোয়া করা উত্তম। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের অধিকাংশ দোয়া ছিল সালাম ফেরানোর আগে। সালাম ফেরানোর আগে মুসল্লী নামায ত্যাগ করেনি; সুতরাং এমন অবস্থায় (দোয়া করা) উত্তম।

আল্লাহ তায়ালাই সর্বজ্ঞ।

সূত্র

ইসলাম জিজ্ঞাসা ও জবাব

answer

সংশ্লিষ্ট প্রশ্নোত্তরসমূহ

at email

নিউজ লেটার পেতে সাবস্ক্রাইব করুন

নিয়মিত আপডেট ও ওয়েবসাইটের নিত্য নতুন তথ্য পেতে ইমেইল দিয়ে সাবস্ক্রাইব করুন

phone

ইসলাম প্রশ্ন এবং উত্তর অ্যাপ্লিকেশন

কন্টেন্টে আরও দ্রুত অনুসরণ করুন এবং ইন্টারনেট ছাড়া ব্রাউজ করার সুযোগ

download iosdownload android